পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা
- 27-Mar-2022 10:30AM
- Zahidul Islam
- 1318
প্রথম অধ্যায়
ভূমিকা
অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে প্রকৃত জাতীয় আয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে । প্রক্রিয়া বলতে কতিপয় শক্তির সম্মিলিত কার্যক্রম বুঝায় । এসব শক্তি দীর্ঘ সময় ধরে কার্যকর থাকে এবং অর্থনৈতিক চলকের মধ্যে পরিবর্তন ঘটায় । সময় ও স্থান ভেদে এসব প্রক্রিয়া ভিন্ন রূপ লাভ করে । অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু উপাদান মূল ভূমিকা পালন করে থাকে । যার মধ্যে উৎপাদন সংগঠন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদ, মূলধন গঠন, কৃৎ কৌশল উন্নতি এবং শিল্পক্ষেত্রে প্রভাব । শিল্পক্ষেত্রে যেমন- পোশাক শিল্প, চামড়া শিল্প, ঔষুধ শিল্প, প্লাষ্টিক শিল্প, তাঁত শিল্প, লবন শিল্প, রেশম শিল্প, সিমেন্ট শিল্প, তুলা ইত্যাদি শিল্প সমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তার মধ্যে পোশাক শিল্প অন্যতম উপাদান শিল্প হিসেবে গন্য হয়ে থাকে ।
বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প আজ শুধু দেশের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্পখাতই নয় বরং দেশের বিপুল বেকার শ্রেণীকে উৎপাদনমূখী শিল্পের জীবিকার সংস্থানের বন্দোবস্ত করেছে । বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প আজ অন্যতম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে । যা সরকারীভাবে পোশাক শিল্প খাতের উপর নজর বাড়াতে সাহায্য করছে । অতি সম্প্রতি কালে বাংলাদেশে পোশাক শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিংশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকেই আমাদের দেশে কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশে পোশাক শিল্প খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে । তাই এটি এখন আমাদের দেশে একটি বৃহৎ রপ্তানিমুখী শিল্প ।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সংজ্ঞাঃ
অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে এমন এক গতিধারাকে নির্দেশ করে, যা কতগুলো অর্থনৈতিক শক্তির সংযোগ যার মাধ্যমে জনগনের মাথাপিছু আয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় ।
এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ সি. ই. ব্লাক ‘ঞযব ফুহধসরপং ড়ভ সড়ফবৎহরুধঃরড়হ, গ্রন্থে বলেন,
“ উৎপাদন শীলতা বৃদ্ধি, আর্থ-সামাজিক সাম্য, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, উন্নত প্রতিষ্ঠান ও দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমাজ ব্যবস্থায় বিরাজমান অনাকাক্সিক্ষত অবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে গৃহীত যুক্তিযুক্ত সমন্বিত নীতি পদ্ধতির মাধ্যমে অর্জিত আধুনিকায়নকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হিসাবে গণ্য করা যায় ”।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মিল্টন ফ্রিডম্যানের মতে,Economic development is an innovative process leading to the structural transformation of social system ।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে রষ্টো বলেন :-
১. মৌলিক বিজ্ঞানের প্রসার, ২. যন্ত্র উদ্ভাবনের পর তার বাস্তব প্রয়োগ ৩. বৈষয়িক উন্নতি সাধনই মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ।
তাই বলা যায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোন দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি, আর্থসামাজিক অগ্রগতি, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসার, প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতি, দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারতা, সরকারি কর্মকান্ড ও নীতিসমূহের সমন্বিত বাস্তবায়ন প্রভৃতি নির্দেশ করে ।
দ্বিতীয় অধ্যায়
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অপরিহার্য উপাদানসমূহ:
অধ্যাপক আরটি গিল অর্থনৈতিক উন্নতির বিভিন্ন পূর্ব শর্ত বিশদভাবে আলোচনা করেছেন । তিনি এ ব্যাপারে বলেন কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাতটি উপাদানের কথা উল্ল্যেখ করেছেন ।
উৎপাদন সংগঠনঃ
উন্নয়নের জন্য ভূমি শ্রম মূলধন ও সংগঠন পরিকল্পিত ভাবে সংগ্রহ করতে হবে। এদের সংগঠিত করলে দ্রব্য বা সম্পদ উৎপন্ন হতে পারে । এই চারটি উপাদনের সংমিশ্রণ হতে সমস্ত দ্রব্য উৎপাদন হয় । ঠিক কোন ধরণের ইনপুট সংমিশ্রণ ব্যবহার হবে সেটি নানা বিষয় চিন্তা করে উদ্যোক্তারা স্থির করে । কিন্তু উৎপাদন সংগঠন সর্বদা উন্নত করে তোলার অপর নাম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ।
প্রাকৃতিক সম্পদঃ
প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকলে উৎপাদন বাড়ে না, উন্নয়নও হয় না । প্রাকৃতিক সম্পদ এর মূল উপকরণ । এরাই উৎপাদনের মূল ভিত্তি । প্রাকৃতিক সম্পদের ঘাটতি থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া কেউ এত বেশি উন্নত হতে পারত না ।
মূলধন সংগ্রহঃ
উন্নয়নের মূল কথা মূলধন সংগ্রহ । উপকরণকে সঠিকভাবে পরিবর্তিত করে শ্রম । আনেক নিপুন যন্ত্রপাতির সাহায্যের দরকার হয় । এ ধরনের মূলধন না থাকলে উৎপাদন কম হয় । অর্থাৎ শ্রম অনেক কম উৎপাদনশীল থাকে ।
উৎপাদনের বিশেষীকরণঃ
উন্নয়নের জন্য দরকার অধিক মাত্রায় উৎপাদন যাতে বৃহদায়তন উৎপাদনের বিশেষীকরণ ব্যয় সুবিধা পাওয়া যায় । বেশি উৎপাদন হলে বিশেষীকরণ হয় । ফলে শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তাই রপ্তানির জন্য উৎপাদনের বিশেষীকরণ প্রয়োজন।
উদ্যোগঃ
পশ্চিমা উন্নত দেশ গুলোতে ব্যক্তিগত উদ্যোগ উন্নয়নে দায়িত্ব পালন করে । কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক কারণে ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি রাষ্ট্রিয় উদ্যোগের প্রয়োজন ।
উন্নত অবকাঠামোঃ
উন্নত পরিবহন, যাতায়াত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত বলা যায় । কারণ এগুলো দ্রব্যের উৎপাদন এবং বিক্রয় বা বন্টন ব্যয় হ্রাস করে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে পারে ।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাঃ
অব্যাহত অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা । রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে উন্নয়ন কর্মকান্ড ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পায় । রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা, দূর্নীতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদির জন্ম দেয় ।
লাগসাই শিক্ষা ব্যবস্থাঃ
শিক্ষা ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি প্রধান উপাদান । যে সমাজ যত শিক্ষিত সে সমাজ তত উন্নত । এছাড়া কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষকে দক্ষ শ্রমিক হতে সাহায্য করে । এসব কিছু উন্নয়নের উপাদান বলা হয় ।
তৃতীয় অধ্যায়
অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্পের ভূমিকাঃ
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের যাত্রা খুব বেশি দিন হয় নি । গত শতাব্দীর শেষ দিকে এদেশে পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হলেও আশির দশকে এই শিল্প রপ্তানি মুখী শিল্প হিসেবে বিকাশ লাভ করে । তবে নব্বই দশকে এই শিল্প উৎকর্ষ ও বিখাশ লাভ করে ।
২০০১ সাল নাগাদ ওভেন,নিট, সোয়েটার সহ সর্বমোট পোশাক কারখানার সংখ্যা হয় ৩০৬৭ টিতে । এখানে মোট শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখে । পোশাক শিল্প এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি বৈদেশিক বাণিজ্য, ও কর্মজীবি মানুষের সবচে বড় খাত ।
নি¤œ আয়ের যেসব দেশ বিশ^ বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হওয়ার ফলে লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম । এক্ষেত্রে এদেশের শ্রম নির্ভর রপ্তানিমুখী তৈরী পোশাকখাতের সাফল্য একবারে সামনের সারিতে । ৭০এর দশকের শেষ দিকে গুটিকয়েক কারখানা তৈরীর মাধ্যমে এদেশে পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ।
১৯৭৮ সালে এসব কারখানা তাদের প্রথম চালান বিদেশে পাঠায় । আর বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ৩৫০০ এর বেশি কারখানায় ১৬লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে । যাদের ৬৬শতাংশের বেশি নারী ।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের তৈরী পোশাক কারখানা গুলোয় কর্মরত মোট শ্রমিকের ৯০% বেশি নারী । পোশাক কারখানা বেশির ভাগ নারীই শ্রমিকই এসেছে পল্লী অঞ্চল থেকে । এ শিল্পের উৎপাদিত পন্য সামগ্রি বিশ^ বাজারে প্রবেশ এসব নারীদের কর্মসংস্থান ও উপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে । পোশাক শিল্প আমাদের অর্থনীতিকে আমাদের সামগ্রিক ভাবে উন্নত করছে ।
মূলত শ্রম শিল্পের সহজলভ্যতা ও স্বল্প মূল্যের কারণেই বাংলাদেশে পোশাক শিল্প দ্রুত বিকাশ লাভ করতে শুরু করেছে । এদেশে রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা তাদের অধিকাংশই বেকার । বিশেষ করে দেশে অসংখ্য মহিলা কর্মহীন । ফলে তারা পোশাক শিল্পে অল্পমূল্যে শ্রম দেয় । এতে উৎপাদন ব্যয়ও হ্রাস পায় । তাছাড়া এদেশের শ্রমিকদের দক্ষতাও উল্ল্যেখ যোগ্য ।
নি¤েœ পোশাক শিল্পের নানামুখী গুরুত্ব উল্লেখ করা হলোঃ
স্বল্পব্যয়ে পোশাক তৈরিঃ
নিজ দেশে স্বল্পব্যয়ে পোশাক তৈরি হয় বলে স্বল্পমূল্যে জনগন পোশাকের চাহিদা মিটাতে সক্ষম হয় । বিদেশ থেকে উক্ত পোশাক আমদানি করলে তা অধিক মূল্যে ক্রয় করতে হতো । সে দিক থেকে জনগন সহজে ও সুলভে পোশাক ক্রয় করে তাদের চাহিদা বা প্রয়োজন মিটাতে পারে । এর দ্বারা সমাজে অর্থিক সাশ্রয় ঘটে ।
কর্মসংস্থানঃ
সাধারনত পোশাক শিল্প উচ্চ শিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজন হয় না । তবে পোশাক শিল্প তৈরীর কাজে বিশেষ জ্ঞান সম্পন্ন কর্মীর প্রয়োজন হয় । বিশেষ ট্রেনিং দ্বারা স্বল্প শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত যুবক ও যুবতীর এ খাতে কর্মসংস্থান করা সম্ভব হয় ।
নারী উদ্যোক্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নঃ
বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে নিয়োজিত মোট শ্রমিকের অধিকাংশই নারী । নারী শ্রমিকের পাশাপাশি অনেক নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা অর্থনৈতিক ভাবে উন্নতি করতে সামর্থ হয়েছেন ।
এই সকল নারী উদ্যোাক্তারা বিশে^র সাথে তার মিলিয়ে আজ তারা তার কাজ করে যাচ্ছে । আজকে এদেশে অনেক নারীরা অন্যদের ট্রেনিং পর্যন্ত দিতে সামর্থ রাখছে ।
পোশাক শিল্পের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি অর্জনঃ
পোশাক শিল্পের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ফলে বাংলাদেশ বিশে^র বাজারে তাদের রপ্তানি দ্বারা উন্নতির গতিধারা বজায় রাখতে সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । এ প্রেক্ষিতে শিল্পজাত পন্য হিসাবে পোশাক শিল্প হতে তৈরী পোশাকা ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ১২,৪৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ১৭,৫৮৪ মিলিয়ন মার্কিনডলার রপ্তানি আয় করেছে ।
বন্দর উন্নয়ন ও শিপিং সম্প্রসারণঃ
পোশাক শিল্পকে কেন্দ্র করে সমুদ্রও নদী বন্দর গুলোর উন্নয়ন ঘটেছে । বন্দর উন্নয়ন ও শিপিং ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়েছে । এর দ্বারা শিক্ষিত বা অদক্ষ্য বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে ।
ব্যাংক বীমা সম্প্রসারণঃ
পোশাক শিল্পকে কেন্দ্র করে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণ ঘটেছে । এসব আর্থিক খাতেও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের নিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে । এতে জনগনের চাকুরির সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
পরিপূরক শিল্পের বিকাশ ঃ
পোশাক শিল্পকে কেন্দ্র করে পরিপূরক শিল্প বিকাশ লাভ করেছে । পোশাক শিল্পে নানান সহায়ক শিল্প দ্রব্যের প্রয়োজন হয় । যেমন বোতম, হুক, গাম, কার্টুন, ক্যারিব্যাগ,সূতা, লেবেল টেপ, ওয়াটার প্রুফ কলম ইত্যাদি । বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের পাশাপাশি এগুলোর বিকাশ ঘটেছে । দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে এগুলো বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে ।
প্রশাসনিক দক্ষতাঃ
সম্পদ বা মূলধন থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে এমন কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না । কারণ মূলধন বা সম্পদের বন্টন দক্ষতা থাকতে হবে । দক্ষ বন্টন ব্যবস্থা নিয়োগ, জাতীয় আয় ইত্যাদি দ্রুত বাড়বে । এর জন্য দরকার প্রশাসনিক দক্ষতা ।
বিবিধঃ
পোশাক শিল্প যেখানে গড়ে ওঠে, যেখানে গড়ে ওঠে, সেখানে প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবসা কেন্দ্রও গড়ে ওঠে । তাতে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয় ।
পরিবার, সমাজ তথা দেশের বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে তা সহায়ক হয় । যেমন বাড়ি ভাড়া, রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল, পরিবহন, নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার সম্প্রসারনণ এসবে বহু মানুষের নিয়োগ ও উপার্জন প্রসারিত হয় । সুতরাং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশর পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।