বৈদেশিক বাণিজ্যে বিনিয়োগে সমস্যা ও সম্ভাবনা


ভূমিকা 
বাংলাদেশে কৃষিপ্রধান দেশ হলেও অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্বার্থে এখানে শিল্পখাতের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি । উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতি ক্রম রুপান্তর ঘটানোর জন্য এদেশে শিল্পোন্নয়ন অপরিহার্য ।

কিন্তু বাংলাদেশের শিল্পখাত উন্নত নয়। মোট দেশজ উৎপাদনের মাত্র ১৭ ভাগ শিল্প থেকে আসে । 
 শিল্প পুঁজির স্বল্পতা উদ্যোক্ত অভাব অনুন্নত আর্থ সামাজিক অবকাঠামো প্রভৃতি কারণে এদেশে শিল্প খাতের উন্নয়ন ও প্রসার ঘটেনি।

 বাংলাদেশের প্রধান প্রধান বৃহদায়তন শিল্প হল পাট বস্ত্র চিনি কাগজ সার সিমেন্ট লোহা ও ইস্পাত জাহাজ নির্মাণ ও ঔষধ ইত্যাদি । 
ক্ষুদ্রায়তন শিল্পে মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্লাস্টিত ও নাইলন শিল্প সাবান চামড়া দিয়াশলায় তামাক কাঁচ যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। 
                           

   দ্বিতীয় অধ্যায় 

 বাংলাদেশের বাণিজ্যের ইতিহাসঃ
 অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিক থেকে বাংলা একটি রপ্তানিকারক এলাকায় রূপান্তরিত হয়েছিল এবং ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন বৈদেশিক বাণিজ্য খাতে উদ্বৃত্ত ছিল।রেশম, সুতিবস্ত্র এবং নানা ধরনের খাদ্যপণ্যের সস্তা মূল্যের কারণে এশিয়া ও অন্যান্য মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বাংলায় আসা শুরু করে। 

সপ্তদশ শতকেই ব্রিটেন, হল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক ও আরও অনেক দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলায় কুঠি প্রতিষ্ঠা করে। সে সময় তারা মূলত সোনা ও রুপার বিনিময়ে বাংলার বিভিন্ন পণ্য কিনে নিয়ে বিদেশে রপ্তানি করত।

 ১৬০০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় তার অফিস প্রতিষ্ঠা করে এবং ১৬০৮ সালে সুরাটে তার প্রথম বাণিজ্য পোত স্থাপন করে। পর্তুগিজদের দৌরাত্ম্যের কারণে ব্রিটিশ বণিকরা ভারত থেকে সমুদ্রপথে রপ্তানি সম্প্রসারণে নানা রকম বাধা-বিপত্তিতে পড়ে। সম্রাট শাহজাহানের নির্দেশে সুবাদার কাশিম খান ১৬৩২ সালে হুগলি থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়ন করেন। 
                                      
   তৃতীয় অধ্যায়  

বিনিয়োগের সংজ্ঞাঃ
     সাধারণ অর্থে বিনিয়োগ বলতে কোন ব্যবস্য প্রতিষ্ঠানে টাকা খাটানোকে বিনিয়োগ বলে । কিন্তু অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বলতে শুধু টাকা খাটানোকেই বিনিয়োগ বলে না ।  বরং বিনিয়োগ আরোও ব্যাপক অর্থে ব্যবহ্রত হয় । 

একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের বর্তমান উৎপাদনযোগ্য সম্পদ ও মূলধনের সাথে যে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সম্পদ ও মূলধন যুক্ত হয় সেটিই আলোচ্য প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ।

এক কথায় মুনাফা অর্জনের উদ্দ্যেশ্যে নতুন নতুন নতুন মূলধন সামগ্রীর মজুদ বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করাই হলো বিনিয়োগ ।

বিনিয়োগ মূলত দুই প্রকার ।
১. স্বয়ম্ভূত বিনিয়োগ
২. প্ররোচিত বিনিয়োগ

 

    চতুর্থ অধ্যায়

 

বিনিয়োগের নির্ধারক সমূহঃ
           মূলধনের প্রান্তিক দক্ষতা এম ই সি  কমলে বিনিয়োগ কমে  । আবার এমই সি বাড়লে বিনিয়োগ বাড়ে । নি¤েœ বিনিয়োগের নির্ধারক সমূহ তুলে ধরা হলো ।

১. সুদের হার বিনিয়োগের নির্ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয় । কারণ যেখানে সুদের হার বেশি সেখানে বিনিয়োগ কম । আবার যেখানে সুদের হার কম সেখানে বিনিয়োগের হার বেশি ।

২. প্রত্যাশিত আয় বিনিয়োগের উপর প্রভাব বিস্তার করে । প্রত্যাশিত প্রাপ্তির হার যদি সুদের হারের চাইতে বেশি হয় তবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে ।  আর যদি  প্রত্যাশিত প্রাপ্তির হার যদি সুদের হারের চাইতে  প্রত্যাশিত প্রাপ্তির হার যদি সুদের হারের চাইতে বেশি হয় তবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে কম হয় তবে বিনিয়োগ হ্রাস পাবে । 

৩. মূলধনের খরচ বৃদ্ধি পেলে বিনিয়োগ কম হয় । আর যদি খরচ কম হয় তবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি হয় । উৎপাদন, রাজনীতি,মুনাফা,জনসংখ্যা বৃদ্ধি,ইত্যাদি বিনিয়োগের নির্ধারক হিসেবে বিবেচিত হয় ।
বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্যে বিনিয়োগে সমস্যা ও সম্ভাবনা

 

 

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন